সফর

নিরিখ সফরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে মনে করে। নিরিখ সফরকে নিজেদের রূপান্তরের  গুরুত্বপূর্ণ উপায়-পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি বিবেচনা করে। নিরিখের সফর তাই নেহায়েত ‘ট্যুরিজম’ নয়, যেখানে আদব রক্ষা করা হয় না। নিরিখের সফরে আদব রক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির একটি। 

নিরিখ যখন সফরকে করে তখন অনেকগুলো বিষয় বিবেচনা করে। এগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:

  • কোনো স্থান/মানুষ/ এলাকা/ সম্পর্ককে বর্ণবাদী আধুনিক-পুজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক ‘ভোগ’/’উপভোগ’ এর  ‘বস্তু’/ব্যাপার হিসেবে, ‘বিনোদন’-এর উৎস / উপায় হিসেবে দেখেনা নিরিখ।
  • ‘জ্ঞান’ ইত্যাদির ‘মাঠ পর্যায় চর্চা’ হিসেবে দেখেনা। আলাদা করে, ‘দূরে’ মাঠ খোঁজে না ‘নিরিখ’।
  • ‘পবিত্র’/ ‘অপবিত্র’, ‘সভ্যতা’/আদিমতা/বর্বরতা’ ইত্যাদি  ধারণার/চর্চার  বর্ণবাদী আধুনিক-পুজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক পদ্ধতি/বিচার পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা খেয়ালে রাখে নিরিখ।
  • বর্ণবাদী আধুনিক-পুজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক জাতি-পরিচয়বাদী সীমানা পদ্ধতি/চর্চার সমস্যা/সীমাবদ্ধতা খেয়াল রাখার অনুশীলন করে নিরিখ।
  • নিরিখ  বিউপনিবেশিক, অপুজিতান্ত্রিক, অপুরুষতান্ত্রিক আন্তঃসত্তা সম্পর্ক ধ্যান, কল্পনা ও রচনার অনুশীলন করে, প্রস্তাব করে।

নিরিখ সফর নিজেদের বর্ণবাদী আধুনিক-পুজিবাদী-পুরুষতান্ত্রিক- সামর্থ্যবাদী- শ্রেষ্ঠত্ববাদী-পরিচয়বাদী সকল জ্ঞানের আছর, সংস্কার, ধারণা, অনুশীলন, প্রথা  থেকে মুক্ত হবার বিশেষ রকমের ধ্যান অনুশীলন। 

তাই, নিরিখ সফরে সাধারণ কিছু আচরণবিধি  তো মানেই, সাথে, ‘লোকায়ত বিদ্যালয়’ প্রস্তবিত ‘ জনপরিসরে শিষ্টাচার’ (হাইপার লিংক) মেনে চলে।

Scroll to Top