বিজ্ঞান-ধর্ম বাইনারী না করে কি করে আলাপ করা যায়?

জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির পর্যালোচনামুলক বোঝাপড়ার একটা পাঠসুত্র উদ্যোগ

কোভিড-১৯ ঘটনা বাংলাদেশ এবং বিশ্বে বহু নতুন-পুরান আলাপ সামনে আনছে, অনেক দরকারী আলাপ হারায়াও যাইতেছে অন্যসব আলাপের ভীড়ে বা চাপে। আলাপ-বিতর্কের  থাকা-না থাকা-হাজিরা-গরহাজিরার রাজনীতি আছে। করোনাকালের বাংলাদেশ/ বাংলাভাষী অঞ্চলে অনেক আলাপের সাথে/মধ্যে  বিজ্ঞান বনাম ধর্ম টাইপ এক পশলা আলাপ-বিতর্কও হয়া গেলো, হয়তো কিছুটা চইলা আবার তলায়া যাবে। জানি না। তবে, এই পশলায় ‘ধর্ম’ এবং ‘বিজ্ঞান’ সম্পর্কে  আমাদের সমাজেও পর্যালোচনামূলক বোঝাপড়ার ঘাটতি লক্ষ্য করা গেছে। এই ঘাটতির নানা কারণ আছে, কিন্তু ন্যায়-ইনসাফ-মর্যাদা-সাম্যের সমাজ-দেশ-দুনিয়া নির্মাণের সাধনায় এই ঘাটতি পূরণের জন্য ভাবনা-অনুশীলন জরুরী একটা কাজ। তার অংশ হিসেবে এই পাঠসূত্র প্রণয়নের উদ্যোগ।

যারা তালিকা পরামর্শে পড়াশুনা করতে চান, তাদের প্রতি গৎবাঁধা কথা প্রথমে মনে রাখতে হবে- এই তালিকার নির্মাণ নানাদিক থেকে সীমাবদ্ধ কিন্তু চলমান। এতে যোজন-বিয়োজন ও পরিমার্জন চলতে থাকবে। যেসব জিনিসপত্রের নাম/ঠিকানা/অধ্যায় দেয়া আছে, তার সব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো আছে- এমন না। সহজ-কঠিনের ক্রমানুসারেও সাজানো নয় এই তালিকা। এ সবই পাঠকের বিবেচনা ও অগ্রাধিকারের আওতায়।

এত বড় লিস্ট! সব পড়তে বা শুনতে হবে না। তালিকাটা প্রাথমিক একটা সূত্র হিসেবে হাতে রেখে পড়াশুনা করতে গিয়ে পাঠক নিজেই তার নিজের অপেক্ষাকৃত ছোট বা খুবিই সংক্ষিপ্ত কিন্তু  প্রয়োজনীয়/অগ্রাধিকার পাঠের তালিকার দিকে যেতে পারবেন বা যাবেন বলে আশা করি। যদি তেমন কাজে আসে, তাইলে সেটা তালিকা প্রণয়নের একটা অতি ক্ষুদ্র হইলেও সাফল্য হিসেবে বিবেচিত হবে।

পাঠক পুরা বিভাগ বা তালিকা দেখে নিজের আগ্রহ ও জিজ্ঞাসার জিনিস আগে পড়া-শোনার চেষ্টা করতে পারেন, কিন্তু পরামর্শ থাকবে- একটা বা দুইটা কোনো জিনিস পড়ে-শুনে সিদ্ধান্ত বা মত চূড়ান্ত না করার।  ভিন্নমতগুলির সাথে চেনা-জানার চেষ্টা খুব কাজের। এটা বিবেচনায় রেখে চেষ্টা আছে এই তালিকা যথাসম্ভব ভারসাম্য ও পর্যালোচনামূলক রাখার। কোনো মত বা সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করা বা চাপিয়ে দেয়া এই তালিকার উদ্দেশ্য নয়। বরং, একটা সামগ্রিক পর্যালোচনার তদবির যেন সমাজে চলে- সেটা এই তালিকা করার প্রধান উদ্দেশ্য।

একেক টেক্সটের রচনা একেক সময়ে, অঞ্চলে বা প্রেক্ষিতে রচিত হয়েছে। এখনই এই বিষয়গুলো তালিকায় উল্লেখ করা এই পর্যায়ে সম্ভব হচ্ছেনা।। তার আগে পরে, বিভিন্ন অঞ্চলে সে বিষয়ে আরো অনেকের অনেক কাজ থাকতে পারে বা আছে- সেসবের সাথে পরামর্শ করা জরুরী , তা না হলে কোনো রচনার ওপর অবিচার করা হয়ে যাইতে পারে।

বাংলা বা আমাদের এই অঞ্চলের ‘স্থানীয়’ ভাষাগুলিতে রচনা কই? থাকলেও এত কম কেন? উত্তরটা, আসেন, সবাই মিলে ভাবি, কাজের দায়িত্ব নেই।

‘সব কি আপনে পড়ছেন?’ না, সব আমি পড়ি নাই। কিছু পড়ছি, কিছুর সারাংশ পড়ছি, কিছুর ভূমিকা, কিছুর অংশ বিশেষ। এই লিস্ট করতে থাকাটা আমার নিজের পড়াশুনার জন্যে কাজে লাগে। আপনাদের সামান্য কাজে লাগলেও খুশির কথা।

প্রাথমিক খসড়ায় ফিডব্যাক দিয়ে সহযোগিতা করছেন জাকারিয়া হোসাইন অনিমেষ এবং মিথিলা মাহফুজ। তাদের প্রতি ধন্যবাদ, সংহতি। সংযোজন/বিয়োজন ও সম্পাদনা চলবে*।

বিনীত নিবেদন,

অরূপ রাহী

মুল পাঠ তালিকা পড়তে ক্লিক করুন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top