ভূমিকা
[ ভুমিকা অংশ পড়তে কারো ‘কঠিন’ লাগলে অংশটা বাদ রেখে পাঠ পঞ্জিকা অধ্যায় ধরে পরিচয় ও পর্যালোচনা পাঠগুলি থেকে নিজেদের পাঠ শুরু করতে পারেন। পরে আবার সুবিধামত সময়ে ভূমিকা অংশটা পড়ার চেষ্টা করতে পারেন। আর, এই পঞ্জিকা থেকে পাঠ নির্বাচনে প্রয়োজনে সম্যক গুরু/উস্তাদ ধরবেন। ]
১
দ্বীন, ধর্ম, মত, পন্থ, সাধনা, উপাসনা, রিলিজিয়ন ইত্যাদি শব্দের ঐতিহাসিক ও বিবর্তনগত অর্থ এক এবং স্থির নয়, বহু এবং বহুমাত্রিক- আমরা অনেকেই ইতোমধ্যে এটা জানি। এই সব ধারণা বিকাশের নিজস্ব ‘ইতিহাস’ আছে। ‘সামাজিক’-‘সাংস্ক্রিতিক’-‘ঐতিহাসিক’ কারণেই এসব ধারণার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও কালে কালে অনেক মিল ও আন্তঃযোগাযোগ হাজির হইছে- তাও বুঝি আমরা এখন। এই ধারণা বিকাশ, পার্থ্যক্য, আন্তঃযোগাযোগ ও মিল হাজির হবার প্রক্রিয়ার ব্যাপারগুলা বিবেচনায় রাখা ও পর্যালোচনা করা এসব বিষয়ে অধ্যয়ন শাস্ত্রের অন্যতম প্রাথমিক কাজ। আপাতত, মিল-পার্থক্য-যোগাযোগ একসঙ্গে ধারণা করে আমাদের পরবর্তী আলাপ করব।
২
দ্বীন- ধর্ম-রিলিজিয়ন-উপাসনা ইত্যাদির ‘মানবীয়’/ মানব-মাধ্যম বুঝ-বোঝাপড়ার বাইরে কেবলই নীরবতা। মানে, এসব সম্পর্কে ‘মানবীয়’/ মানব-মাধ্যম বুঝের বাইরে কোনো বুঝ আমাদের আয়ত্তে নাই। কাজ হইতে পারে- এই বুঝের প্রক্রিয়া ও ইতিহাস বোঝা, বুঝের জগত-জগতের বুঝ, অর্থের জগত আর জগতের অর্থ- দুইয়ের ইতিহাস ও তা রচনার ইতিহাস বোঝা, পর্যালোচনা করা। কিন্তু পর্যালোচনার কারণ- প্রক্রিয়া ও পদ্ধতির কোনো সামান্য/সর্বজনীন তরিকা, পদ্ধতি ও অভিজ্ঞতা ইতিহাসে ঘটে নাই- তার বহু ‘সামাজিক’- ‘সাংস্কৃতিক’- ‘ঐতিহাসিক’ কারণ ইত্যাদি আছে; যেমন – সামাজিক-ভৌগলিক-প্রতিবেশ তথা স্থানিক বৈশিষ্ট্য, সাম্রাজ্য, উপনিবেশ, পুঁজিবাদ, পুরুষতন্ত্র, বর্ণবাদ, ‘আধুনিকতা’, প্রাচ্যবাদ ইত্যাদি।
‘ধর্ম’/‘দ্বীন’/‘রিলিজিয়ন’ বিকাশ এবং এসবের অধ্যয়ন শাস্ত্র নির্মাণ দুই-ই এসব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাইতেছে।
সংস্কৃতি, পরম্পরা বা ট্র্যাডিশন,‘আধুনিকতা’, ঐহিকতা/বস্তুগততা/জাগতিকতার ধ্যান- ধারণার বিকাশ ও পর্যালোচনার সাথে তাই দ্বীন- ধর্ম-রিলিজিয়ন বোঝাপড়া ও পর্যালোচনা অঙ্গাঙ্গী সম্পর্কে যুক্ত।
৩
দ্বীন-ধর্ম বিকাশের ইতিহাস পর্যালোচনায় গোত্র-অঞ্চল-প্রতিবেশ-পরিযায়- বানিজ্য- সাম্রাজ্য অভিজ্ঞতা ইত্যাদির মাত্রা স্মর্তব্য, আমরা জানি। কিন্তু, সাথে এটাও অতি জরুরী স্মর্তব্য যে, সাম্রাজ্য আকাঙ্খী, সাম্রাজ্যবিস্তারী, সাম্রাজ্য কায়েমী, উপনিবেশকারী ও ঔপনিবেশিক অভিজ্ঞতার দ্বীন-ধর্ম-রিলিজয়ন বুঝ আর ‘নেটিভ’/‘আদিবাসী’/‘পরিযায়ী’/‘স্থানিক’ দ্বীন-ধর্ম-রিলিজয়ন বুঝ ‘এক হয়ে যাবার’ প্রক্রিয়ায়, ‘সত্য’ এবং ‘সত্যজ্ঞান’-এর এক চেটিয়া মালিকানাবাদ ভিত্তিক দ্বীন-ধর্ম-রিলিজয়ন বোঝাপড়া কায়েম হওয়া এবং দ্বীন-ধর্ম-উপাসনা ইত্যাদি ‘সর্বজনীন’ ও ‘সামান্য’ হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াগুলার মধ্যে ইতিহাসের গভীর ও বহুমাত্রিক সব বিস্থাপন-বিপর্যয়-ত্রস্ততা-মন্বন্তর-জ্ঞানান্তর-কালান্তর অভিজ্ঞতা, দ্বীন-ধর্মান্তর অভিজ্ঞতা রচিত হইতে থাকে। ‘মুক্তি’/‘আনন্দ’/’কল্যাণ’/ মঙ্গল এসব ক্ষেত্রে কোনোভাবেই সাধারণ নয়, সামান্য নয়, সর্বজনীন ব্যাপার নয় এসব ঘটনায় । তদুপরি, এসব ঘটনাও ‘দ্বীন’, ‘ধর্ম’, ‘উপাসনা’ ও ‘রিলিজিয়ন’ সম্পর্কে মানুষজনকে নানামাত্রায় ‘চেতন’ করে তুলছে। কতভাবে, কি কি প্রশ্ন/ ভাবনা/ অনুশীলনের পরিবর্তন সমাজে হাজির হয় এসবের মধ্যে দিয়ে- তা নজর-বিবেচনায় রাখা এই অধ্যয়ন শাস্ত্রের অন্যতম কাজ হওয়া দরকার।
৪
সকল পরম্পরা ও অঞ্চলের ‘নিজস্ব’ ‘সেক্যুলারাইজেশনের সাথে উপনিবেশ, পশ্চিমা ঔপনিবেশিক আধুনিকতা প্রভাবিত বিশেষ সেক্যুলারাইজেশন ( সেক্যুলারাইজেশন এখানে বিশেষ রাজনৈতিক প্রকল্প নয়, বরং যোগাযোগ, উৎপাদন-বিনিময়, প্রযুক্তি, প্রশাসনপদ্ধতি ইত্যাদির প্রভাব ) প্রক্রিয়ার বিমিশ্র প্রভাব আছে কলম্বাস ও ‘এনলাইটেন্মেন্ট’ পরবর্তী ‘আধুনিক’ বা সাম্প্রতিক দুনিয়ার প্রভাবশালী ধর্ম , দ্বীন ও রিলিজিয়ন ধারণা, এসব সংক্রান্ত জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞানপ্রতিষ্ঠানের , প্রাতিষ্ঠানিকতার, অথরিটি বা কর্তৃত্বের ধরণে ও বিকাশে। ধর্ম/ দ্বীন/ রিলিজিয়ন/উপাসনা অধ্যয়নকে এই প্রক্রিয়াগুলিকে বিবেচনায় নেয়া এবং এসবের পর্যালোচনায় সক্ষম হয়ে উঠতে হবে। ‘সেক্যুলারিজম’- ‘এন্টিসেক্যুলারিজম’ ইত্যাদি ধারণা, ঘটনা ও প্রতিক্রিয়া, এসবের প্রভাব, সে পর্যালোচনার অংশ হইতে হবে।
৫
উপনিবেশপূর্ব বিভিন্ন সমাজ সংস্থান ও সাম্রাজ্য অভিজ্ঞতা, পরবর্তীকালে ঔপনিবেশিক বিশ্বায়নজাত কেন্দ্রিকতা, সমরুপতার দাবী, তার স্ববিরোধ, বিনিময় সম্পর্কের নতুন বিন্যাস অভিজ্ঞতা, ‘আধুনিক’ ‘জাতি-পরিচয় রাষ্ট্র’ অভিজ্ঞতা ধর্ম-দ্বীন-রিলিজিয়ন ইত্যাদির সামান্যবোধ/সর্বজনীনতা, সংখ্যাগুরুবাদ, কেন্দ্রবাদ এবং তার কর্তৃত্ব কায়েমজনিত ত্রস্ততা ও বেইনসাফির জন্ম দিছে। এই আত্যন্তিক ও দুনিয়াবী বেদনা ও অভিজ্ঞতার পর্যালোচনা ধর্ম/ দ্বীন/ রিলিজিয়ন/উপাসনাসমূহ অধ্যয়নের এক ফরজ কাজ।
৬
খোদ দ্বীন- ধর্মাদি পর্যালোচনা শাস্ত্রেরই পর্যালোচনা চলতেছে – এই মননকালে আছি আমরা। ইনসাফি মন নিয়ে বহুশাত্রীয় পর্যালোচনায় আমরা বুঝতে পারবো: ‘আদি’, ‘বিশুদ্ধ’ রূপের কোনো ধর্মাদির ভাবনা, সেসব রূপেই ধর্মাদি ‘ফিরায়ে আনা’ বা তা একালে ‘কায়েম করা’র কল্প-প্রকল্প ঔপনিবেশিক আধুনিকতা আর ‘সেক্যুলারিজমে’র বেদনামিশ্রিত এক বেইনসাফি আর জুলুমশাহীর প্রকল্পই কেবল না, এটা ‘কায়েম’ করা ‘মানবিক’ সম্ভাব্যতার শর্তাধীন। সোজা কথায়- অসম্ভব। উপনিবেশবাদ, বর্ণবাদ, ‘আধুনিকতা’ আর ‘সেক্যুলারিজম’-এর বেদনাও হইলো আমাদের, এখন কেবল এইসব পার হয়ে যাবার নতুন যাত্রা সম্ভব। নতুন ‘রচনা’। দ্বীন-ধর্মাদির পর্যালোচনা শাস্ত্র এই চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে শাস্ত্র হিসেবে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাবে সেগুলা। এই প্রাসঙ্গিক ভূমিকা পালন কইরা এই শাস্ত্রের সুফল বিলুপ্তির কাল হাজির হোক।
৭
কিন্তু নতুন সেই যাত্রা কেন নিবো আমরা, কিসের দাবি? জুলুমশাহীমুক্ত, শান্তি-আনন্দ-কল্যাণেরর, ন্যায়-ইনসাফের জীবন, জীবন ব্যবস্থা, সমাজ- দেশ-অঞ্চল-দুনিয়া গঠনের দাবি। দ্বীন-ধর্ম-রিলিজিয়ন-উপাসনার কেমন বুঝ-বোঝাপড়ার চর্চা দুনিয়ার জুলুমশাহী দূর করতে সাহায্য করতে পারে? ‘সত্যজ্ঞান’-এর একচেটিয়া মালিকানাবাদ মুক্ত, বিউপনিবেশিক, সাম্যবাদী ভেদনীতি দিয়ে বোঝাপড়া, প্রাচ্যবাদ থেকে বের হওয়া তার একটা কাজ। এটা নানা কারণে একালে সর্ববাদী প্রকাশ্যে অন্তত সম্মত। কিন্তু শ্রেষ্ঠত্ববাদ-সংখ্যাগরিষ্ঠতাবাদ- পরিচয়বাদ-খোদাপছন্দ(chosen)বাদ ইত্যাদি জুলুমিয়াত ভেদনীতি থেকে বের হওয়া ইনসাফি ইলমের দাবী, এটা মানতে অনেকের ‘আধুনিকতা’ প্রভাবিত এবং সাম্রাজিক ক্ষমতার স্বাদ-স্মৃতি-বিষণ্ণতাসৃষ্ট মন সায় দেয় না। সায় দেয়না বর্ণবাদী-আধুনিক- পুরুষতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রকল্পের বাইরে দ্বীন- ধর্ম- রিলিজয়ন বোঝাপড়া – অনুশীলনে।
৮
৮/ ‘সত্য’ ও ‘জ্ঞান’-এর একক মালিকানাবাদীতা মুক্ত হয়ে দ্বীন-ধর্ম-উপাসনার বিউপনিবেশিক, অসাম্রাজ্যিক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, জাতিবাদ-রাষ্ট্রবাদ-সংখ্যাগুরুবাদ- খোদাপসন্দবাদ( chosen)-পরিচয়বাদ বিরোধী, পুঁজিবাদ –পুরুষতন্ত্রবিরোধী, তথা জুলুমশাহী বিরোধী, সর্বজনীন মুক্তিকামী, শান্তি-ইনসাফি-কল্যাণকর বুঝ-বোঝাপড়া- অনুশীলন গড়ে তোলা নিজেই একালের দ্বীন-ধর্ম-উপাসনা-জীবনবিধান- সাধনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। দ্বীন-ধর্ম-উপাসনা অধ্যয়ন শাস্ত্র ও তার পর্যালোচনার নতুন পয়গাম এটাই।
কালাকালে দ্বীন-ধর্ম-উপাসনা-জীবনবিধান পর্যালোচনা-নবপরিচয় ‘মানুষ’দের ‘নিজদেরকে’ দেখা আবেশভাঙ্গা ভাবাবেশে, মুগ্ধতাভাঙ্গা বিমুগ্ধতায়, কালান্তর, গল্পান্তর, জীবনান্তরে; জ্ঞাতা-মননকর্তা অন্তর- মননকালান্তর- মন্বন্তরের যাত্রায় । নতুন যুগ। নতুন ‘অসুর’কাল। নতুন ইনসানিয়াত। এই মানুষে।
৯
তালিকা ও পাঠপদ্ধতি প্রসংগে গৎবাঁধা আলাপঃ
মনে রাখতে হবে– এই তালিকা নির্মাণটা নানাদিক থেকে সীমাবদ্ধ কিন্তু চলমান। এতে যোজন–বিয়োজন ও পরিমার্জন চলতে থাকবে বা তার দরকার থাকবে। যেসব জিনিসপত্রের নাম দেয়া আছে– তার সব অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাজানো আছে– এমন না। সহজ–কঠিনের ক্রমানুসারেও সাজানো নয় এই তালিকা। শুধু অধ্যায় সাজানো আছে পরিচয়–পর্যালোচনার বিষয় অনুসারে। পাঠ নির্বাচন পাঠকের অধিকার, দরকার ও অগ্রাধিকার বিবেচনার আওতায়।
তালিকাটা প্রাথমিক একটা সুত্র হিসেবে হাতে রেখে পড়াশুনা করতে গিয়ে পাঠক নিজেই তার নিজের অগ্রাধিকার অনুসারে সংক্ষিপ্ত তালিকার দিকে যেতে পারবেন বা যাবেন বলে আশা করি।
পরামর্শ থাকবে– একটা বা দুইটা কোনো জিনিস পড়ে–শুনে সিদ্ধান্ত বা মত চুড়ান্ত না করার। ভিন্নমতগুলির সাথে চেনা–জানার চেষ্টা খুব কাজের। এটা বিবেচনায় রেখে চেষ্টা আছে এই তালিকা যথাসম্ভব ভারসাম্য ও পর্যালোচনামূলক রাখার। কোনো মত বা সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করা বা চাপিয়ে দেয়া এই তালিকার উদ্দেশ্য নয়। বরং, একটা সামগ্রিক পর্যালোচনার তদবির যেন সমাজে চলে– সেটা এই তালিকা করার প্রধান উদ্দেশ্য।
তালিকায় উল্লেখ করা এই পর্যায়ে সম্ভব হচ্ছেনা, কিন্তু, একেক রচনার/টেক্সটের একেক রচনা সময়, অঞ্চল বা প্রেক্ষিত। তার আগে পরে, বিভিন্ন অঞ্চলে সে বিষয়ে আরো অনেকের অনেক কাজ থাকতে পারে বা আছে– সেসবের সাথে পরামর্শ করা জরুরী , তা না হলে কোনো রচনার ওপর অবিচার করা হয়ে যাইতে পারে। বাংলা ও অন্যান্য স্থানীয় ভাষায় জিনিসপত্র এত কম কেন– এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের সবাই মিলে খুঁজতে হবে, সমাধানের দায়িত্ব নিতে হবে ।
দয়াল ভরসা।
অরূপ রাহী
অগ্রহায়ন ১৪২৭। নভেম্বর, ২০২০।
তালিকা
সুচিপত্রঃ
১/ ধর্ম -দ্বীন – রিলিজিয়ন ইত্যাদিঃ পদ ও পরিধি পরিচয়
২/ ধর্ম, রিলিজিওয়ন, দ্বীন ইত্যাদির সমাজতাত্বিক, নৃতাত্ত্বিক, ও অন্যান্য পরিচয় ও পর্যালোচনা
৩/ রিলিজিয়াস স্টাডিজ/ ধর্ম-দ্বীন- উপাসনা অধ্যয়ন সম্পর্কে আলাপ- বিতর্ক- পর্যালোচনা
৪/ উত্তর-উপনিবেশবাদ, বিউপনিবেশায়ন ও রিলিজিয়াস স্টাডিজ
৫/বিজ্ঞান-ধর্ম জোড়-বিপরীত( Binary)করণের বাইরে ভাবার উপায়-সম্ভাবনা বিষয়ে
৬/জেন্ডার- নারীবাদ-কুইয়ার তত্ত্ব ও রিলিজিয়াস স্টাডিজ
৭/ সক্ষমতাবাদ/প্রতিবন্ধিতা প্রশ্ন
৮/ সেক্যুলারিজম, রিলিজিয়ন, ধর্ম
৯/ দ্বীন ও ইসলাম: উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ
১০/ বাংলা ভাষায়/বাংলা অঞ্চল প্রাসঙ্গিক১১/ চিন্তা-ভাবনা-জ্ঞান-বিবেচনাপদ্ধতির বিউপনিবেশায়ন
মুল পাঠ তালিকা পড়তে ক্লিক করুন।